টানা ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ইনস্পেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে কড়াইল বস্তিতে আগুনের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট রওনা হয়। তবে সড়কে যানজটের কারণে প্রায় ৩৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো। এরপর একে একে ২০টি ইউনিট পৌঁছে পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে বস্তির বহু ঘর পুড়েছে তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি কতটি ঘর পুড়েছে।

এর আগে, রাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেনেন্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কড়াইল বস্তির আগুন নেভানোর সীমাবদ্ধতা প্রচুর। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সবগুলো আগুনের কাছাকাছি আসতে পারছে না। এই বিশাল এলাকায় পানির লাইন জোড়া দিয়ে আগুনের কাছে পৌঁছাতে হচ্ছে।

তখন তিনি বলেন, আগুনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ফায়ার সার্ভিসের শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এই মুহূর্তে ২০টি ইউনিট কাজ করছে। বস্তির পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে আগুনের মাত্রা যদি কমে যায় তবে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যাবে। এরপর খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে কোথায় কোথায় আগুনের সোর্স রয়েছে। যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে তখন নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হবে।

পানির স্বল্পতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট পানির যে সোর্স সেখান থেকে আগুনের কাছে পৌঁছাতে একটু সময় লাগছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধান চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দ্রুত পৌঁছাতে পারলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেত। আমাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ৩৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে। এরপর একে একে ইউনিট আসতে আরও সময় লাগে। ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো শুরুতে আগুনের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। আমরা এসে দেখি আগুন প্রায় ডেভেলপড পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগুনের স্তর যখন তৃতীয় পর্যায়ে চলে আসে তখন নিয়ন্ত্রণে করতে কিছুটা সময় লাগে।